Published On:Monday 27 October 2014
Posted by Unknown
মোগলটুলীতে কর্মবীর সুদেশক মৈত্রীবংশ ভিক্ষুর স্থবির বরণ ও কঠিন চীবর দানানুষ্টান আগামী ৩১ অক্টোবর
ভদন্ত মৈত্রীবংশ ভান্তের সংক্ষিপ্ত জীবনালেখ্য তুলে ধরেছেন-
ইলা মুৎসুদ্দী
অসংখ্য বালুকণায় গড়ে বিশাল ভুবন
অপ্রেমেয় ত্যাগ লাগে গঠিত মহৎ জীবন।
ভদন্ত মৈত্রী বংশ ভিক্ষু। তিনি ১৯৮৬ সালের ১৭ জুন চট্টগ্রাম জেলার অন্তর্গত রাউজান থানার পশ্চিম বিনাজুরী গ্রামের শ্রদ্ধাবান উপাসক বাবু অনুত্তর বড়ুয়া এবং পুণ্যশীলা শ্রীমতি পাখি রানী বড়ুয়ার ঘর আলোকিত করে এই পুণ্যবান সত্ত্ব জন্মগ্রহণ করেন। এই দম্পতির দু’পুত্র এক কন্যার মধ্যে ভদন্ত মৈত্রীবংশ ভিক্ষু তৃতীয়। পূর্বজন্মের শক্তিশালী পারমী হেতু ছিল বলেই অতি অল্প বয়সেই স্বেচ্ছা প্রণোদিত হয়ে ১০-০৯-১৯৯৯ইং সালে শুভ মধু পূর্ণিমা দিনে অতুলনীয় প্রতিভাধর, বিদর্শনাচার্য, ধুতাঙ্গসাধক, আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন পন্ডিত প্রবর ভদন্ত প্রজ্ঞাবংশ মহাথের মহোদয়ের নিকট প্রব্রজ্যা ধর্মে দীক্ষিত হন। বিগত ১৭ জুন ২০০৫ইং দীক্ষাগুরু ভদন্ত প্রজ্ঞাবংশ মহাথেরো’র উপাধ্যায়ে গহিরা অংকুরীঘোনা জেতবনারাম বিহারের উদক সীমায় দুর্লভ উপসম্পদা লাভ করেন। বর্তমান তিনি শতাব্দীর ঐতিহ্যবাহী বড়ুয়া পাড়ায় প্রতিষ্ঠিত শ্মশানভূমি শাক্যমুনি বুদ্ধ বিহারে উপ-পরিচালক হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন। প্রতি বছর বর্ষাবাসকালীন সময়ে শ্মশানভূমি শাক্যমুনি বুদ্ধ বিহার ও প্রজ্ঞাজ্যোতি ধ্যানকেন্দ্রে অনুষ্ঠিতব্য ধ্যান কোর্সে অংশগ্রহণকারী ধ্যানী যোগীদের প্রতিদিন ভোর ৪টায় ঘন্টা বাজিয়ে ঘুম থেকে জাগিয়ে দেন এবং সূত্রপাঠ করেন। একজন ভিক্ষুর এই যে ধর্মের প্রতি গাঢ়বতা, আন্তরিকতা এসবই উনাকে আরো অনেকদূর এগিয়ে নিয়ে যাবে এই প্রত্যাশা করি। পাশাপাশি তিনি সীবলী ফাউন্ডেশন চট্টগ্রাম এর সংগঠক প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি । আগামী ৩১শে অক্টোবর ২০১৪ইঙ তারিখে চট্টগ্রামের মোগলটুলী বড়ুয়া পাড়ায় প্রতিষ্ঠিত শ্মশানভূমি শাক্যমুনি বুদ্ধ বিহারে দানোত্তম শুভ কঠিন চীবর দানোপলক্ষে কর্মবীর সুদেশক মৈত্রী বংশ ভিক্ষুর স্থবির বরণ অনুষ্ঠান অনুষ্টিত হতে যাচ্ছে। সকলকে উক্ত মাংগলিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের জন্য মৈত্রীপূর্ণ আহবান জানাচ্ছি।